বাইক থামাতে আগে কী চাপবেন ‘ব্রেক’ নাকি ‘ক্লাচ’ ??? বর্তমানে, ট্র্যাফিক জ্যাম এড়াতে এবং কম সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে অনেকে চার চাকার গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। এছাড়াও আজকের দিনে মোটরসাইকেলে সারা দেশ ঘুরে বেড়ানো সমস্ত বাইক প্রেমীদের কাছে একটা trend হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই ধরনের ব্রেকিং সিস্টেম থাকে – সামনের ব্রেক, পিছনের ব্রেক এছাড়াও একটি ড্রাম, অন্যটি ডিস্ক। মোটরসাইকেল চালকরা দুই চাকার গাড়ি থামাতে ব্রেক এবং ক্লাচ ব্যাবহার করে , দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তাদের বাইক থামানোর সময় প্রথমে ব্রেক টিপতে হবে নাকি ক্লাচ ।
যখন আপনি বাইক চালাতে চালাতে জ্যামে আটকে পড়েছেন, অথবা বাইকের সামনে আচমকা কোনও প্রাণী বা মানুষ চলে এসেছে অথবা দেখা গেল যে সামনের গাড়ি হঠাৎ চলতে চলতে দাড়িয়ে গেল, এইরকম সময়ে বাইকটি পুরো থামিয়ে দিতে হবে। প্রথমে ক্লাচ ধরে তারপর ব্রেক ধরতে হবে। এতে বাইক থেমে যাবে, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধও হবে না।
এছাড়াও দেখা গেলো যে, বাইকটি যখন কোন হাইওয়ে অথবা ফাকা রাস্তায় ভীষন জোর গতিতে ছুটে চলেছে সেইসময়ে বাইকের গতি কমানোর জন্য প্রথমে ব্রেকে চাপ দিয়ে ক্লাচ প্রয়োগ করে গিয়ার ডাউন শিফ্ট করা যেতে পারে।
ধরা যাক বাইক চালক এক মোটামুটি স্পীড যেমন 40-50 kmph হিসেবে গাড়ি চালাচ্ছেন। এইসয়ে বাইক এর গতিবেগ কমানোর জন্য় শুধুমাত্র হালকা ব্রেক চাপলেই হবে। আবার আগের মত গতিবেগে ফিরতে হলে থ্রটেল ব্যাবহার করলেই হবে।
তবে জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে যদি বাইক চালককে হঠাত বাইক থামাতে হয় সেইসময়ে চালককে ব্রেক – ক্লাচ একসাথে ব্যাবহার করা উচিত।