আমাদের অধিকাংশই daily usage এর জন্য দীর্ঘতম ব্যাটারি লাইফযুক্ত স্মার্টফোনের সন্ধান করি৷ দ্রুত চার্জিং আমাদের প্রতিদিন অধিক ব্যাবহারের জন্য এগিয়ে রাখে, তেমনই লিথিয়াম-আয়ন যুক্ত ব্যাটারি কোষগুলি বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্ষয় হয় যার ফলে ব্যাটারির আয়ু কমতে শুরু করে। আপনি যদি কয়েক বছর ধরে একটি ফোন ব্যাবহার করেন তবে আপনি সম্ভবত লক্ষ্য করেছেন যে আপনার ফোনটি আগের মত আর ব্যাটারি backup দেয় না। দুর্ভাগ্যবশত, ব্যাটারির ক্ষমতা বয়সের সাথে অনিবার্যভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনি ব্যাটারি লাইফকে দীর্ঘায়িত করতে পারবেন না।
1) সম্পূর্ণ চার্জ চক্র (0-100%) এবং রাতারাতি চার্জিং এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে, আংশিক চার্জের সাথে আপনার ফোনকে আরও নিয়মিতভাবে টপ আপ করুন৷ আপনার স্মার্টফোনের সর্বোচ্চ চার্জ 80-90% পর্যন্ত সীমিত করা ব্যাটারির স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিবার সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হওয়ার চেয়ে ভাল৷
2) যখন আপনার ডিভাইস ঠান্ডা থাকে তখন দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করুন। তাপ ব্যাটারি স্বাস্থ্যের অবনতিকে ত্বরান্বিত করার সম্ভাবনা রাখে। চার্জ করার সময় আপনার ফোনটি ঢেকে রাখবেন না এবং এটিকে উষ্ণ স্থান থেকে দূরে রাখুন৷ তাপ এবং ব্যাটারির চাপ এড়াতে চার্জ করার সময় গেম খেলবেন না, ভিডিও স্ট্রিম করবেন না ৷
3) আংশিক চার্জিং লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির জন্য ঠিক আছে এবং কোষের দীর্ঘায়ুর জন্য কিছু ইতিবাচক সুবিধা থাকতে পারে। কিছু ফোন সম্পূর্ণ ক্ষমতার কাছাকাছি হলে চার্জিং অক্ষম বা ধীর করে দেয়। এই বিকল্পগুলি ব্যবহার করুন। স্মার্টফোনে ব্যবহৃত লি-আয়ন ব্যাটারি গড়ে 400-500 চার্জিং/ডিসচার্জিং চক্রের জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চার্জ ধরে রাখতে পারে। প্রতিটি চার্জ/ডিসচার্জ চক্র ব্যাটারিতে চার্জিং পরিধান নিয়ে আসে।
4) সর্বদা আপনার স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকের দ্বারা প্রস্তাবিত এবং সরবরাহিত চার্জার ব্যবহার করুন৷ আপনার ফোন দ্রুত চার্জিং সমর্থন করলে এই অভ্যাসটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভাল মানের আসল চার্জারগুলি দীর্ঘতর এবং ভাল ব্যাটারি জীবন নিশ্চিত করে। কোনো থার্ড-পার্টি চার্জার বা সস্তা বিকল্প ব্যবহার করবেন না যেগুলি আসল স্মার্টফোন অ্যাডাপ্টারের স্পেসিফিকেশনের সাথে প্রস্তাবিত বা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
5) নিশ্চিত করুন যে আপনার ফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে যাতে শেষ না হয়ে যায়। ব্যাটারি নিষ্কাশনের ফলে ব্যাটারির ভিতরে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, যা পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা কঠিন। এই ভারসাম্যহীনতা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়, এবং আপনাকে ঘন ঘন আপনার ফোন চার্জ করতে হবে, যতক্ষণ না ব্যাটারি ব্যাকআপ অকেজো হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট কম হয়।
6) আপনার স্মার্টফোনে বেশ কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন এর প্রক্রিয়াকরণ এবং মেমরি ব্যবহারের অংশ পায়। এটি পরোক্ষ ভাবে ব্যাটারির উপর চাপ তৈরি করে। কাজেই, ব্যবহার না করা অ্যাপগুলো uninstall করে দেওয়াই ভালো।
7) Phone brightness এর উপর নির্ভর করে আপনার battery ড্রেন হতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্য মোটামুটি কাজ চালানোর মত brightness সেট করুন। ব্যাটারি খরচ কমাতে আপনি স্মার্টফোনে ডার্ক মোডও ব্যবহার করতে পারেন।
8) স্মার্টফোন অ্যাপগুলি তাদের পরিষেবার জন্য ডিভাইসের location ব্যবহার করে। যাইহোক, এই ধরনের অ্যাপ এবং পরিষেবাগুলি সারা দিন প্রয়োজন নাও হতে পারে, বিশেষ করে যখন আপনি ঘুমাচ্ছেন। একইভাবে, Wi-Fi, মোবাইল ডেটা এবংbluetooth মতো বৈশিষ্ট্যগুলি দিনে 24 ঘন্টা প্রয়োজন নাও হতে পারে। সুতরাং, এই বৈশিষ্ট্যগুলিকে সীমিত করা বা প্রয়োজন না হলে সেগুলি বন্ধ করা ব্যাটারি বাঁচাতে অনেকাংশে সাহায্য করতে পারে৷
9) একটি নতুন মোবাইল হলে, এটি চালু করার এবং এটি ব্যবহার শুরু করার আগে 100% চার্জ করার চেষ্টা করুন।
10) আপনি যদি আপনার মোবাইল 80% এর বেশি চার্জ করেন, তাহলে আপনি ব্যাটারির ক্ষতি করছেন। আপনি যদি স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে 20% এর নিচে চলতে দেন, তাহলে আপনি ব্যাটারির উপর চাপ দিচ্ছেন এবং এর চার্জিং ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছেন। তাই আপনার মোবাইলে ব্যাটারির চার্জ 80% এবং 20% এর মধ্যে রাখা উচিত, যাতে ব্যাটারি কোনও গুণমান না হারায় এবং ব্যাটারি লাইফ দীর্ঘ হয়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় উপরের বেশিরভাগ পয়েন্ট আমরা সকলে জেনেও low battery warning পেয়েও ফোন ব্যাবহার করতে ছাড়ি না। যার ফলে আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবেই নিজেদের ফোনের ব্যাটারির সর্বনাশ ডেকে আনি !! যদি উপরের টি পয়েন্ট আমরা ঠিক করে মেনে চলি তাহলে আমাদের ফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকটাই বাড়াতে পারব।